পর্নোগ্রাফি ও যুব সামাজ ---------------------------------------

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৫১:১৩ সন্ধ্যা

পর্নোগ্রাফি বা পর্ন হল যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌন বিষয়বস্তুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা।

বিগত কয়েক দশকে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন তথা ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোগকে কেন্দ্র করে একটি বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে। মূলত ভিসিআর, ডিভিডি ওইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার এবং যৌন বিষয়বস্তুর প্রদর্শনে সমাজের অধিকতর উদার মনোভাব এই শিল্প গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ। পর্নোগ্রাফির অভিনেতাদের পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা (বা অভিনেত্রী) বলা হয়ে থাকে। তারা সাধারণত পর্ন স্টার নামে পরিচিত হয়। মূলধারার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনায় এদের অভিনয়ের গুণমানও সাধারণত পৃথক হয়। শখের পর্নোগ্রাফি এই শিল্পের জনপ্রিয় একটি ধারা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরিত হয়ে থাকে।

এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে যিনি নেট ব্যবহার করেছেন অথচ পর্ণ পিকচার ও মুভি দেখেননি। নেটের পর্ণ সাইডগুলো বাদ দিলেও ফেসবুকে পর্ণ পেইজ ও চটি গল্পের পেইজে নজর পড়েনি এমন ইউজার নাই বলেল চলে। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষে আগ্রহ থাকে বেশি। তাই পর্ণ-চটি পেইজ যুবক-যুবতীরা চিঁড়া-মুড়ির ন্যায় খায়। বিশ্লেষকদের মতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পর্ণ সাইড ও পেইজের প্রতি আগ্রহী বেশি । সে সব সাইড ও পেইজে ঘুরে আসতে একটি স্মার্ট ফোনই যতেষ্ট। উন্নতশীল দেশগুলোতে পর্নোগ্রাফি একটি প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি পেলেও বাংলাদেশে পর্ণোগ্রাফির কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প নাই তবে প্রতারণার মাধ্যমে ও মোবাইলে ধারণকৃত ধর্ষনের দৃশ্য, স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকার একান্ত যৌনতার ভিডিও ক্লিপ, পিকচার ও স্ক্যান্ডেল বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভুঁইফোড় মেমোরি কার্ড লোডের দোকানের কম্পিউটারের মাধ্যমে , সাধারণের মোবাইল মেমোরিকার্ডের মাধ্যেমে, ব্লুটুথের মাধ্যমে এসব স্ক্যান্ডল দ্রুত ছড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সহজলব্ধ হওয়ার কারনে দেশের কোথা কোন স্ক্যান্ডাল বের হলে মুহুর্তে সেটি বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়ে যায়। সুখের বিষয় হল বিদেশে বাংলাদেশী পর্ণোস্টার থাকলেও তাদেরকে সরকার দেশে এনে প্রতিষ্ঠাত করেনি; কিন্তু ভারতে সানি লিওন ও পনুম পান্ডের মত পর্ণোস্টারদেরকে সে দেশে এনে প্রতিষ্ঠিত করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বরং তাদের মাধ্যেমে যৌনোত্তেজক ফ্লিম তৈরী করছে। আর সে সব ফ্লিম বাংলাদেশে ডিভিডি ও বাংলাদেশী ফ্লিম ইন্ডাষ্ট্রির মাধ্যমে এনে যুব সমাজের মন মস্তিষ্ককে শুধুই বিকৃতি করছেনা, চারিত্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তও করছে। এখনি সরকার তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণলয় যদি সেই সকল পর্ণ সাইজ ও পেইজগুলো বন্ধের কঠিন পদক্ষেপ না নেয় এবং অভিভাবকগন সচেতন না হলে চরিত্র হন্তারক এ প্রলঙ্কারী ঝড় থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা দুস্কর হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

173453
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
পল্লবগ্রহিতা লিখেছেন : আপনার উদ্বিগ্নিতার জন্য স্যালুট। আসলে পর্ণগ্রাফি অন্যান্য মাদকের মতই বরং তার চেয়েও ভয়াল এক নেশা, যা যুবসমাজকে একেবারে পঙ্গু করে দিবে। এ নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা ও সতর্কতা হওয়া সময়ের দাবি।
173463
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০১
হতভাগা লিখেছেন : 'বিশ্লেষকদের মতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পর্ণ সাইড ও পেইজের প্রতি আগ্রহী বেশি ।''

০ তাই না কি ! কিন্তু ভাব তো নেয় যে ভাজা মাছও উল্টিয়ে খেতে জানে না !
173506
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩১
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : সুন্দর বিশ্লেষণ , অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File